নিজস্ব প্রতিবেদক : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা শনিবার। সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিক কালে প্রচলিত হয়েছে।

তবে প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন বলে জানা যায়। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতীর পূজা হয়ে থাকলেও করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এ বছর পূজামন্ডপে সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে। আজ সকাল ৭টা ৭ মিনিটে শুরু হবে পঞ্চমী তিথি। পরদিন রোববার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে পূজার তিথি সমাপ্ত হবে। এদিন সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের বাসা ও পূজামন্ডপে সরস্বতী পূজা হবে। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি গ্রহন করবেন। এদিন শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়।

কক্সবাজার সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বাপ্পী শর্মা ও সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম জানান, এবার সদর উপজেলায় ৭০টির অধিক পূজা মন্ডপে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হবে। করোনাজনিত কারনে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধি-নিষেধ মেনে পূজার আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।